সাম্প্রতিক

ফে র দৌ স মা হ মু দ

কাজের বাক্স, ক্ষুধার শরীর

কাল রাতে পশুরা বেরিয়েছিল
খাবারের খোঁজে; ওরা
তোমাকে খুঁজে পায়নি
তুমি লুকিয়েছিলে ক্যাঙারুর
থলিতে।

অথচ
মানুষের মতো দেখতে শিকারিরা ঠিকই
খুঁজে পেলো তোমাকে;
তুমি বললে ‘ভরপেট শিকারিদের ঘৃণা করা
আমাদের কতব্য’

ওরা তোমার মায়ের মতো
ক্যাঙারুকে করলো হত্যা
উদীয়মান সূর্যের লালে।

দাগ

গ্রীষ্মের শহরে মাটির যন্ত্রণা জুড়োবার বৃষ্টি চাই
বালিতে লেগে আছে কাউকে বিদায় দেয়ার দাগ;
দাগ দেখে কি করুণ গানের পেছনে তাকানো সম্ভব?
চলো, সার্কাসের বাঘের পিঠে চড়ে পালাই অতলের কূপে
গাছে গাছে ঘুরছে অসময়ের ঝাঁপি খোলা ঘূর্ণিঝড়;
আয়ু ছুটছে পাখির বিষাদে বাতি জ্বালাতে
মৃত্যুর পাঁচালিকে চাইলে ছুঁতে জ্বলে উঠছে আগুন!
তুমি থেকো নিশ্চিন্তে, তোমাকে ঠিকই রেখে দেব
পোকা কাটা পাতা থেকে এনে আকাশের বুকে।

ধূলোর বিন্দুতে জীবিতের কবরগুলো হয়ে উঠছে ফুল ও ফলের ছাই।

 

ডাকঘরের পায়ের নিচে

বৃদ্ধ একটি সূর্য বসে আছে আমার ঘরে চেয়ারে হেলান দিয়ে,
তাকে শোনাচ্ছি ক্যাসেটে বাজিয়ে ঝলমলে হাততালি

নিচ্ছি সবুজ রঙের বিশ্রাম ঘাস বিছানো কার্পেটের উপর
মাটিতে দাঁড় করিয়ে লাল স্কুল।

তোমাকে আর আমি কবিতা দেখাব না, তুমি যত না পাঠক
তার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেছো কাব্যসমালোচক।

লেখাটি প্রকাশিতহয়
হরমা’ প্রথম বর্ষ  সংখ্যা-১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

Tags: ,

লেখকের অন্যান্য পোস্ট :

সাম্প্রতিক পোষ্ট