সাম্প্রতিক

আত্মজ্ঞান ও মিথ কবিতা গুচ্ছ । অনন্ত সুজন

টেলিগ্রাম

একেই বলে লগ্ন—সভ্য সমাচার
যখন ঋতুর সংসার ত্যাগ করে
অবতীর্ণ হয়েছি—অজস্র হিমরেনু হাতে
যেনো নিবেদন-নিযুক্ত শীতকর্নেল

তা না হলে আগুন কেনো আড়ম্বর আজ
যাই বলে ফিরে আসা কুয়াশাকীর্তনে
এ লাল বার্তা তাদেরই সুনামে—
যারা মূলত নগদনারায়ন

গ্রহণ করো,স্বীকৃতি দাও
সঙ্গম ও শীৎকারে ।

আত্মজ্ঞান

কিছু ভুল ফুল হয়ে ফুটে আছে হাড়ের গভীরে—
অনন্তবাগানে

শত্রুদের প্রেম এখনো পাহারা দেয়,গন্ধহরণে

সামান্য কিছু পাপ থাকা ভালো
এতে মানুষ মনে হয় নিজেরে ।

সময়
ঝরে পড়ছে নিমপরাগ,বিবৃতি জানেনা উড়াল ।
তাই,প্রান্তরের রেখা অতিক্রম করে লাগামহীন
ঘোড়ার মতো নিরুদ্দেশ । হঠাৎ উদিত ঝিল্লি তাদের
করুণায় প্রবাহিত । মলিন-মন্থর এ সময় বুঝি
আমার নয় । ধূলিকণায় বিবাদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে
এ আমি নিতান্তই আড়াল শোভাকর । বিস্ময়
চিহ্নের নিচে যাপিত কোন বিসর্গবিন্দু । সতীর্থ স্রোতে
যতসব দাড়ি-কমা আর প্রাজ্ঞ সেমিকোলন—শুধুই
সম্পর্কসেতু নির্মাণ করে মহাকালের কাঁধে তুলে দিচ্ছে
অহেতুক জঞ্জাল । ডাক দিয়ে বলেছে শিল্পের প্রকার ।
সেইসব মুখ ও মুখোশ—যারা অভিনয়ে পারঙ্গম
কুড়ায় কঙ্কাল,জপে সারাক্ষণ অপদেবতার নাম ।
নির্ণয়
ছায়া বিনিময় হয় রাতে
সুদীর্ঘ ভ্রমণ সমাপ্ত হলে থেমে যায়—
জ্বর ও ঝড়পথের লাল নিশানায় পড়ে রয় অঙ্গের আরামনিধুবন পেছনে ফেলে পুরুষ হারায় ঘুমকুয়াশায়
নারী তখন আনন্দজাগানিয়া—কথার কোরক আর
গল্পের ঘ্রানে রাত্রিকে পৌঁছে দিতে চায় ভোরের শিবিরে ।

মিথ

নৈবেদ্যদানে,রুচি পরিচয়ের সুযোগ্য দিন থেকে
যে কথা বলবো বলে সমুদ্রজল হতে লবণকে
আলাদা করে সবার জন্য উপাদেয় করেছি
সে কথা প্রকাশ করে দিলো সন্মিলিত বাগান
পরিষদের সভাপতি—চিরপুস্প গোলাপবাহাদুর
এত যে সন্মোহন জগৎময়,এত যে সুনাম
ফুলেদের—সবই না-কি তোমার শরীর থেকে
গোপনে সংগ্রহ করা ঘ্রাণের গৌরব ।

অনন্ত সুজন

জন্ম--২৭/১১/১৯৭৭ ইং কবিতাবই--পিপাসা পুস্তক, জেল সিরিজ, লাল টেলিগ্রাম, জ্যোৎস্নার হাড় । সম্পাদিত পত্রিকা--সুবিল । সম্পাদনা--শূন্যের সাম্পান [প্রথম দশকের নির্বাচিত কবি ও কবিতা], অনতিদীর্ঘিকা [প্রথম দশকের দীর্ঘ কবিতা । প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ--লীলা রিরংসা । মুঠোফোন--০১৭১২০৯৭৭৬৬

লেখকের অন্যান্য পোস্ট

লেখকের সোশাল লিংকস:
Facebook

Tags: , ,

লেখকের অন্যান্য পোস্ট :

সাম্প্রতিক পোষ্ট