সাম্প্রতিক

‘সাস্ট সাহিত্য সংসদ’ প্রকাশনা ‘আলো-অন্ধকারে যাই’

রাশপ্রিন্ট ডেস্ক : প্রকাশিত হয়েছে ‘আলো-অন্ধকারে যাই’ শীর্ষক সুদৃশ্য ও নন্দনমানঋদ্ধ পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সাহিত্যানুশীলন ও সংবেদনের শোভাযাত্রা ‘আলো-অন্ধকারে যাই’ পত্রিকাটিকে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিশেবে উপস্থাপন করেছে নিঃসন্দেহে।

এই পত্রিকাটা ‘সাস্ট সাহিত্য সংসদ’-এর একটি নিয়মিত (অনিয়মিতভাবেই নিয়মিত) প্রকাশনা। আটপৃষ্ঠার ডিসি-ডিমাই তথা ক্রাউন্ সাইজের পত্রিকাদেহ ব্রডশিট বিন্যাসে পত্রসজ্জাগত দিক থেকে দৃষ্টিসুখকর হয়েছে। এ-পর্যন্ত স্ফূর্ত অনুশীলনমুখর সাহিত্যসংসদের মুখপত্রপ্রকাশনা ‘আলো-অন্ধকারে যাই’ তিনটি ইশ্যু প্রকাশিত হলেও সংসদের অন্যান্য কর্মতৎপরতা চালু রয়েছে অব্যাহতভাবে। সেইসব তৎপরতার মধ্যে রয়েছে নিয়মিতভাবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনাচক্র সঞ্চালন, সাহিত্য-সংস্কৃতির ব্যক্তিভিত্তিক স্মরণ ও শ্রদ্ধার্ঘ তর্পণ, বইপড়া ও পাঠবৈঠকী আয়োজন প্রভৃতি।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কবিতা ছাপানোর পাশাপাশি পত্রিকার এই সংখ্যায় ছাপা হয়েছে দু-দুটো স্বল্পায়তন প্রবন্ধ, অনুবাদিত কবিতা এবং সংবাদভিত্তিক দুটো প্রতিবেদনসংক্ষেপ যথাক্রমে ‘সাস্ট সাহিত্য সংসদ সংবাদ’ এবং ‘সাস্ট সাহিত্য সংবাদ’ শিরোনামে। প্রকাশিত প্রবন্ধদ্বয় যথাক্রমে ‘মতাদর্শ ও নৈরাজ্য : দাসত্ব ও স্বাধীনতা’ এবং ‘প্রসঙ্গ : রবীন্দ্রনাথ ও বিজ্ঞান’ শীর্ষক। দুটো গোছায় ছাপা হয়েছে ওয়ালেস্ স্টিভেন্স এবং মায়া অ্যাঞ্জেলার কবিতার বঙ্গানুবাদিত রূপ।

মূলত সাস্ট-এ অধ্যয়নরত ও অধ্যয়নের পাট চুকানো শিক্ষার্থীরাই লিখেছেন পত্রিকাটায়। একটি বিশেষ অংশে সযত্ন মুদ্রিত হয়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অকালপ্রয়াত শিক্ষার্থী মুহাম্মদ শাহরিয়ার মজুমদারের চারটে কবিতা, যা পত্রিকাটাকে একটা আলাদা মর্যাদায় উন্নীত করেছে।

একটু নজর দিলে পত্রিকাটা আরও পঠনবান্ধব ও নয়নশোভন হতে পারত নিশ্চয়। সেই সুযোগটা আছে এখনও, উৎকর্ষ ও সমৃদ্ধি আনয়নের সুযোগ, ভবিষ্যতের সংখ্যাগুলোতে। বিশেষত ফর্ম্যাট করার বেলায় একটি লেখা থেকে আরেকটি লেখার বিন্যাসগত বিভাজিকা আরেকটু স্পষ্টরেখায় দেখানো দরকারও ছিল। রচয়িতানাম রচনার নামের নিচে রেখে এই দৃষ্টিপীড়ার ব্যাপারটা এড়ানো যেত সহজেই।

তৃতীয় সংখ্যা ‘আলো-অন্ধকারে যাই’ প্রকাশকাল ২০১৬ ফেব্রুয়ারি এবং এর মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা। মাস্টহেডের সম্পাদকীয় সংযোগ হিশেবে মেইলঅ্যাড্রেস্ থাকলেও সশরীর যোগাযোগের জন্য পত্রিকার সমাপ্তিরেখায় ঠিকানা ‘শাবিপ্রবি গেইট, আখালিয়াঘাট, সিলেট’ ছাপা হয়েছে। কে বা কারা এর সম্পাদক কিংবা সম্পাদনাসংশ্লিষ্ট কারোর নাম ছাপা হয়নি।

রাশপ্রিন্ট

এই ওয়েবম্যাগে প্রকাশিত পোস্টগুলোর সঙ্গে ব্যবহৃত প্রচ্ছদফলক/ব্যানার ও অন্যান্য গ্রাফিক চিত্রাবলি বিনা-অনুমতি রিপ্রিন্ট/পুনর্ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে রাশপ্রিন্টের তরফে কোনোরূপ বাধা নাই; ঋণস্বীকার বা উৎসতথ্য উল্লেখের বিষয় একান্তভাবে ব্যবহারকারীর সৌজন্যবোধের ওপর ন্যস্ত। # সম্ভাব্য অবদায়ক, যারা রাশপ্রিন্টে লেখা পাঠাতে ইচ্ছুক, সকলের প্রতি সনির্বন্ধ ও সানুরোধ আহ্বান নির্দ্বিধায় লেখা পাঠানোর। প্রেরিত রচনার প্রাপ্তিস্বীকার এবং প্রকাশযোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য সর্বোচ্চ ছয়-সপ্তাহের মধ্যে লেখক/অবদায়ককে অবহিত করা হবে। লেখাপ্রেরক/লেখকদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, ফেসবুক ও ব্যক্তিগত ব্লগস্পেসে ছাপানো রচনা রাশপ্রিন্টে গৃহীত হলেও অন্য কোনো ওয়েবম্যাগে পূর্বপ্রকাশিত রচনা রাশপ্রিন্ট গ্রহণ করে না। পুনর্মুদ্রণের ক্ষেত্রে রাশপ্রিন্ট নিজস্ব অভিপ্রায় অনুযায়ী লেখা চয়ন ও প্রকাশনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে। # লেখা পাঠানোর প্রাক্কালে তৎসঙ্গে লেখকের ইমেইল অ্যাড্রেস, ফেসবুক লিঙ্ক এবং সম্ভব হলে সেলফোন নাম্বারের সংযুক্তি নিশ্চিত করুন। পরিশেষে উল্লেখ্য হলেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, লেখার সঙ্গে লেখকের ব্যক্তিগত/অভিপ্রেত তথ্য সম্বলিত পরিচয়সংক্ষেপ সংযুক্তকরণ। রাশপ্রিন্ট আপনার সর্বোত সহযোগ ও শুভানুধ্যানের প্রত্যাশী। # রাশপ্রিন্ট সংযোগ : raashprint@gmail.com / ahmedsayem@gmail.com :: রাশপ্রিন্ট ডট কম

লেখকের অন্যান্য পোস্ট

Tags: 

লেখকের অন্যান্য পোস্ট :

সাম্প্রতিক পোষ্ট