সাম্প্রতিক

ব্রেইন ফিভার । কাজী জিননূর

‘শব্দ’কে কোন কোন দিয়ে আর্টিকিউলেট করা যায় তা আমার জানা নেই।
আহ্ ! বৃষ্টি…
বৃষ্টির শব্দ …

কোনো এক সোনাঝর রৌদ্রজ্জল দুপুরে বাইরের দিকে তাকিয়ে মনটা ক্যামন কঁকিয়ে উঠেছিল কেউ একজনকে না পাওয়ার বেদনায়… সেই কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পায়নি…

চাইলেই কি সব শব্দ শোনা যায় বা দেখা যায় ?? যে শব্দ শোনা যায় না বা দেখা যায় না, সে শব্দকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় !!

বহু আগে সুনীলে একটা কবিতা পড়েছিলাম
.          ‘‘পৃথিবী কাঁপেনা তবু
মাঝে মাঝে মানুষের ভূমিকম্প হয়’’
একেকটা শব্দ হচ্ছে ভাষার প্রাণ। ‘ভূমিকম্প’ শব্দটা এ দু’লাইনের কবিতাতে প্রাণ দিয়েছিল।

কোনও এক রমণীর নুপুরের ঝুমুর ঝুমুর শব্দে বা চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে কেউ একজনের ঘুম চলে গেলো… সেই শব্দের ঝংকারকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় !!

কারও নিশ্বাসের শব্দে কারও ঘুম ভেঙে যায়…

একদিন নির্জন বনে ঘুরতে যেয়ে ‘পিহু কাঁহা’ পাখির শব্দে আমি বনে পথ হারিয়ে ছিলাম। যা এখনও আমার ব্রেইনে ফিভারের মতো আছে।

শব্দে ঘুমাই
শব্দে বাঁচি
শব্দে করি বসবাস…
সারা ভূবন শব্দময় । কোনও শব্দ শোনা যায় আবার কোনও শব্দ শোনা যায় না… শুধু অনুভব করা যায়…

কাজী জিননূর

কবি। ছোটকাগজ ‘জারুল’ এর সম্পাদক।

লেখকের অন্যান্য পোস্ট

লেখকের সোশাল লিংকস:
Facebook

Tags: ,

লেখকের অন্যান্য পোস্ট :

সাম্প্রতিক পোষ্ট